সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

Featured Post

পোস্টমাস্টার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। (গল্পগুচ্ছ)

পোস্টমাস্টার  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। (গল্পগুচ্ছ)  প্রথম কাজ আরম্ভ করিয়াই উলাপুর গ্রামে পোস্টমাস্টারকে আসিতে হয়। গ্রামটি অতি সামান্য। নিকটে একটি নীলকুঠি আছে, তাই কুঠির সাহেব অনেক জোগাড় করিয়া এই নূতন পোস্টআপিস স্থাপন করাইয়াছে।

সুনীল অর্থনীতি || ব্লু ইকোনমি ।। Blue Ecomony

 বর্তমান সময়ের অন্যতম সম্ভাবনাময় খাত হলো সুনীল অর্থনীতি। সুনীল অর্থনীতি বা Blue Economy হচ্ছে সমুদ্রের সম্পদ নির্ভর অর্থনীতি। সমুদ্রের বিশাল জলরাশি ও এর তলদেশের বিভিন্ন প্রকার সম্পদকে কাজে লাগানোর অর্থনীতি। সমুদ্র থেকে আহরণকৃত যেকোন সম্পদ সুনীল অর্থনীতির আওতাভুক্ত। বিশ্বব্যাংকের মতে,

অর্থনৈতিক উন্নয়ন, উন্নত জীবন ও কর্মসংস্থানের জন্য সমুদ্র সম্পদের টেকসই ব্যবহার ও সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের সংরক্ষণই সুনীল অর্থনীতি। ১৯৯৪ সালে বেলজিয়ামের অধ্যাপক গুন্টার পাউলি ভবিষ্যত অর্থনীতির রূপরেখা প্রনয়নে একটি টেকসই ও পরিবেশ বান্ধব মডেল হিসেবে সুনীল অর্থনীতির ধারণা প্রদান করেন।

সমুদ্র পৃথিবীর অন্যতম মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ। সমুদ্র মৎস এবং মৎস সম্পদের মাধ্যমে মানুষের খাবারের চাহিদা মেটায়, মানুষ এবং পণ্য পরিবহনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। পৃথিবীর সমস্ত মানুষের ১৫% প্রোটিনের যোগান আসে সমুদ্র থেকে। আন্তর্জাতিক আমদানি-রপ্তানির ৬০% এবং ৬-৭ ট্রিলিয়ন ডলারের বানিজ্যিক কর্মকান্ড হয় সমুদ্র পথে। 

বৈশ্বিক পর্যটন শিল্পের বিকাশে সামুদ্রিক ও উপকূলীয় পরিবেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বে মোট হাইড্রোকার্বনের ৩২% সরবরাহ হয় সামুদ্রিক উৎস থেকে। 

এছাড়াও সমুদ্র নানা ধরনের প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদ যেমন- বালি, লবণ, কোবাল্ট, গ্রাভেল, কপার ইত্যাদির আধার হিসাবে বিবেচিত এবং তেল ও গ্যাস আহরণ ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এসব উপাদানের সমষ্টিকের বলা হয় সুনীল অর্থনীতি।

সুনীল অর্থনীতির মূল উদ্দেশ্য হলো কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করা, দেশের সম্পদ বৃদ্ধি করা, সামাজিক পুজির সৃষ্টি করা, আয় বাড়ানো এবং সর্বপরি পরিবেশে সঞ্চয়-বিনিয়োগের মধ্যে ভারসাম্য সৃষ্টি করা।



#blue_economy #ব্লু_ইকোনমি 

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ