সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

Featured Post

পোস্টমাস্টার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। (গল্পগুচ্ছ)

পোস্টমাস্টার  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। (গল্পগুচ্ছ)  প্রথম কাজ আরম্ভ করিয়াই উলাপুর গ্রামে পোস্টমাস্টারকে আসিতে হয়। গ্রামটি অতি সামান্য। নিকটে একটি নীলকুঠি আছে, তাই কুঠির সাহেব অনেক জোগাড় করিয়া এই নূতন পোস্টআপিস স্থাপন করাইয়াছে।

ভারী বৃষ্টিপাত এবং বজ্রপাতে ভারতে কমপক্ষে ৩৬ জন নিহত

কমপক্ষে ১২ জন বজ্রপাতে এবং আরো ২৪ জন তাদের বাড়ি ধ্বসের শিকার হয়ছে অবিরাম বর্ষনের কারণে।

দূর্যোগপূর্ন আবহাওয়ায় ভারতের উত্তর অঞ্চলে গত ২৪ ঘন্টায় কমপক্ষে ৩৬ জন মারা গেছেন যাদের মধ্যে ১২ জন

বজ্রপাতের আঘাতে মৃত্যুবরণ করেছেন।

ত্রান কমিশনার রানভির প্রসাদ বলেছেন উত্তর প্রদেশের উত্তর অঞ্চল জুরে অবিরাম বৃষ্টির ফলে বাড়ি ধ্বসে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

প্রয়োগরাজ শহরে মোহামেদ উসমান (১৫বছর বয়স)শুক্রবার সন্ধ্যায় তার বন্ধুর ছাদে বসে বজ্রাহত হয়ে সাথে সাথে মারা যান, তার বন্ধু আজনান আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।



 

উসমানের পিতা মোহাম্মদ আইয়ুব বলেনছাদে পা রাখার সাথে সাথেই বজ্রপাত হয় আর আমার ছেলে তখনই মারা যায়”।

কতৃপক্ষ জানিয়েছেন গত পাঁচ দিনে বজ্রপাতে ৩৯ জন ব্যাক্তি প্রাণ হারিয়েছেন, রাজ্যসরকার বজ্রপাত থেকে বাচার উপায় সম্পর্কে জনগনকে সচেতন করছেন।

বর্ষাকালে বজ্রপাত ভারতে নিয়মিত ঘটনা, যা সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলে।

কর্নেল সঞ্জয় শ্রীভাস্তব যার প্রতিষ্ঠান “লাইটেনিং রিসিলেন্ট ইন্ডিয়া” ইন্ডিয়ার মেট্রিওলজিক্যাল ডিপার্টমেন্টের সাথে সচেতনতামূলক কাজ করছেন, তিনি বলেন, বনউজার, পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া এবং দূষণ সব মিলে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে যার কারনেই বজ্রপাতের ঘটনা বেড়েছে।

বৈশ্বিক উষ্মতাও বজ্রপাতের হার বৃদ্ধি করেছে- সুনিতা নারায়ন, ডিরেক্টর জেনারেল এট দ্যা সেন্টার ফর সায়েন্স এন্ড এনভায়রমেন্ট।

 


১ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১.৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট) তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে বজ্রপাতের হার ১২ গুন বৃদ্ধি পেতে পারে। একটি বজ্রপাত কয়েক বিলিয়ন ভোল্ট সমান বিদ্যুৎ বহন করতে সক্ষম এবং এর আঘাতে স্থাপনার বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।

গত বছরের তুলনায় ভারতে বজ্রপাতের হার প্রায় ৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে মৃত্যর হারও বৃদ্ধি পেয়েছে।

ভারতে প্রতিবছর প্রায় ২৫০০ মানুষ বজ্রপাতে মারা যায় যেখানে যুক্ত্ররাস্ট্রে মাত্র ৪৫ জন মারা যায়।

গত বছর ভারতের উত্তর-পূর্ব আসাম প্রদেশে ১৮ টি হাতির একটা দলকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় যারা প্রত্যেকে বড় এক বজ্রপাতের কারণে মৃত্যুবরণ করেছিল বলে ধারনা করা হয়।

বজ্রপাতের ঘটনাগুলো শহর অঞ্চলে খুবই সাধারন ঘটনায় পরিনত হচ্ছে যা ভারতের জন্য আরো চিন্তার বিষয় হয়ে উঠেছে, কারন আগামী বছরগুলোতে শহরের জনসংখ্যা উল্লেখযোগ্যহারে বৃদ্ধি পাবে।

মূল লেখাঃ আল-জাজিরা

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ